000 04871nam a22002297a 4500
001 18482
003 BD-DhGUBL
005 20211217113505.0
008 140226b20101995bng | b 001 0 ben d
020 _a9789893319994
040 _aBD-DhGUBL
_cBD-DhGUBL
082 _222
_a954.92 K5278b
100 _aখসরু, বি জেড
245 _aবাংলাদেশে মিলিটারি ক্যু /
_cবি জেড খসরু, অনুবাদ- সিরাজ উদ্দিন সাথী
260 _aঢাকা :
_bদ্যা ইউনিভার্সেল একাডেমী,
_c২০২১।
300 _a৩৬৭ পৃ.;
_c২২সে. মি.
520 _aমুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের একটা ডমিন্যান্ট বয়ান আছে আমাদের দেশে। এই বয়ান মূলত স্যেকুলারপন্থীদের তৈরি করা। সেখানে বলা হয়ে থাকে, আমেরিকা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিল, সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিল পক্ষে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ঠেকানোর জন্য আমেরিকা সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল। এই বয়ান তৈরি করেছে ঠাণ্ডা যুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন। আর মূলত বাংলাদেশের রুশপন্থী বামেরা এই বয়ান প্রচার করেছে। কেউ তাদের এই হেজিমনিক বয়ানকে কখনো চ্যালেইঞ্জ করেনি। আমেরিকান ডকুমেন্টগুলো অনলাইনে রিলিজ হওয়ার পরে আমরা নিখুঁতভাবে জানতে পারছি আমেরিকা আসলে কী চেয়েছিল, কেন চেয়েছিল। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যাচ্ছে, নিক্সন প্রশাসন এটা জানত। এটা নিয়ে নিক্সন প্রশাসনের কোনো সন্দেহ ছিল না, বহু আগে থেকেই। আর এটা এতই অনিবার্য ছিল যে, সেটাকে ঠেকানোর উদ্যোগ নেয়ার কোনো চেষ্টাও করেনি আমেরিকা। কিন্তু তাদের উদ্বেগের জায়গা ছিল ভিন্ন। সেটা হলো, পাকিস্তানের অংশে থাকা কাশ্মীর। যেন এই সুযোগে, ডিসেম্বরের যুদ্ধের শেষবেলায় ভারতীয় সব সৈন্য পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে পাকিস্তান থেকে কাশ্মীর ছিনিয়ে নিয়ে না যায়। সেটা ঠেকানোই ছিল আমেরিকানদের উদ্বেগের বিষয়। প্রপাগাণ্ডায় আমরা শুনেছিলাম, বাংলাদেশের স্বাধীন হওয়া ঠেকাতে নাকি আমেরিকা সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল। এইটাও ডাহা মিথ্যা কথা। খোদ নিক্সন প্রশাসন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে নানা ক্ষেত্রে সহায়তা দিয়েছিল। আমেরিকা ঠিক সেইসময়ে পাকিস্তানের মাধ্যমে চীনের বাজারে বিনিয়োগের লক্ষ্যে কাজ করছিল। পাকিস্তান ছিল এই গড়ে ওঠা নতুন সম্পর্কের মধ্যস্থতাকারী। তাই আমেরিকার তরফ থেকে পাকিস্তানকে ডিল করার ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ সতর্কতা নিতেই হয়েছিল।
650 _aবাংলাদেশ--ইতিহাস
650 _aBangladesh-- History
700 _aসাথী, সিরাজ উদ্দিন [অনুবাদক]
942 _2ddc
_cBK
999 _c4149
_d4149